প্রকাশিত: / বার পড়া হয়েছে
দাগনভূঞা (ফেনী) ২ নং রাজাপুর ইউনিয়ন বিএনপির জেলা ও সংসদীয় আসন ভিত্তিক প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম উদ্ভোদন করতে গিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট ব্যাবসয়ী আবদুল আউয়াল মিন্টু উক্ত মন্তব্য করেন।
দাগনভূঞা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মনসুর আহাম্মদ ভূঞার সঞ্চালনায়, ২ নং রাজাপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক, মিজানুর রহমান এর সভাপতিত্বে ১ লা অক্টোবর (বুধবার), রাজাপুর বাজার সংলগ্ন মাঠে বিকাল ৩ টায় এই কার্যক্রমের সূচনা করা হয়।
এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য, মশিউর রহমান বিপ্লব। ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল। যুগ্ন আহবায়ক গাজী হাবিবউল্লাহ মানিক। দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক, আকবর হোসেন। সদস্য সচিব, কামরুল উদ্দিন। দাগনভূঞা পৌর বিএনপির আহবায়ক সফিকুর রহমান বাবুল। সদস্য সচিব, হুমায়ুন কবির বাবু। উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক, সাইমুন হক রাজিব। জেলা তাঁতীদলের সভাপতি সরওয়ার জাহান শ্রাবণ। ২ নং রাজাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব, নাছির উদ্দীন। সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা মহিলাদল নেত্রী জাহানারা আক্তার। উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক পলাশ সহ, ছাত্রদল, যুবদল, কৃষকদল, শ্রমিক দল ও মহিলা দলের ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ।
কারা কিভাবে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সদস্য হবেন এই বিষয়ে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মশিউর রহমান বিপ্লব বলেন, ২০ টাকার বিনিময়ে আপনি দলের প্রাথমিক সদস্য ফরম সংগ্রহ করবেন। যারা অন্য কোন কমিটিতে আছেন তারা কোন ভাবেই নতুন করে সদস্য হতে পারবেন না। আর অবশ্যই খে য়াল রাখবেন যেন আওয়ামী, ফ্যাসিস্ট, ও স্বৈরাচারের দোসর কেউ বিএনপির সদস্য হতে না পরে। এরা কাল সাপ, যে কোন মূহুর্তে ছোবল মারতে পারে তাই সর্বাবস্থায় আওয়ামী লীগ থেকে সজাগ থাকতে হবে। আওয়ামী ও তাদের দোসর রা যেন বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করে দলকে কলংকিত করতে না পারে।
পরে বিকাল ৫ টায় উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মামুন ও যুবদলের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক দিদার হোসেন ভূঞার যৌথ সঞ্চালনায়, ১ নং সিন্দুরপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক দলিলুর রহমান দুলাল এর সভাপতিত্বে প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম উদ্ভোদনে প্রধান অতিথি হিসাবে অংশগ্রহণ করেন আবদুল আউয়াল মিন্টু।
সেখানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্মৃতিচারণ করে আরো বলেন, আমার বয়স যখন ৩৫ বা ৪০ বছর, তখন এই রাজাপুর ও সিন্দুরপুরের এমন কোন বাড়ি নেই (নতুন বাড়ি ছাড়া) যে বাড়িতে আমি যাই নি। এসব এলাকায় আমাদের বিএনপির নেতা কর্মির কোন অভাব নেই। বিগত ১৭ বছরের অপশাসনে অনেকেই অনেক কিছু ভূলে গেছে। তাই আমাদের নেতা কর্মিদের উচিত আগামী নির্বাচনের আগে প্রতিটি বাড়িতে ও ঘরে ঘরে গিয়ে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া এবং তারুণ্যের আইকন তারেক রহমানের আদর্শ ও কর্মসূচি তূলে ধরা। যাতে করে আমাদের দলের আদর্শে উজ্জীবীত হয়ে আগামীতে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে ধানের শীষে ভোট দেয়।
তিনি আরো বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারীর নির্বাচনে দল যাকে মনোনয়ন দিবে, তার পক্ষে সকল ভেদাভেদ ভূলে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ থেকে ফেনীর মেয়ে খালেদা জিয়ার প্রতীক ধানের শীষ কে বিজয়ী করতে হবে।